ঢাকার বাড্ডা এলাকার গুদারাঘাটে দুর্বৃত্তের গুলিতে বিএনপির গুলশান থানা শাখার যুগ্ম সম্পাদক কামরুল আহসান সাধন নিহত হয়েছেন। তবে এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় একদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
বাড্ডা থানার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিহতের পরিবারের সদস্যরা মরদেহ দাফনের পর মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। ফলে এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়নি।
গতকাল রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। কামরুল আহসান সাধন গুদারাঘাট এলাকায় অবস্থান করছিলেন, সে সময় হঠাৎ করেই দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় স্থানীয়রা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে এবং আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
বাড্ডা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, নিহত কামরুল আহসান সাধন একজন সক্রিয় রাজনৈতিক নেতা ছিলেন এবং গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা থাকায় ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, কে বা কারা এই হামলার সঙ্গে জড়িত তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি এবং জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।”
এদিকে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন।
পরিবারের পক্ষ থেকেও দ্রুত মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে। দাফনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে বলে পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
