কক্সবাজারের টেকনাফে বিদেশি অস্ত্র, গুলি ও বিপুল পরিমাণ ইয়াবাসহ তিনজনকে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড। আটক ব্যক্তিদের একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
রোববার (১৮ মে) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে টেকনাফের তুলাতলী ঘাট এলাকায় অভিযান চালায় কোস্টগার্ড। এ সময় একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের নৌকা থেকে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি গুলি ও ৩০ হাজার ইয়াবা বড়ি উদ্ধার করা হয়।
আটক তিনজন হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০), নুর মোহাম্মদ (৬১) ও আবদুল শুক্কুর (৪০)। এদের মধ্যে আবদুল শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, তাঁর পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
কোস্টগার্ড জানিয়েছে, সাগরে মাছ ধরার ওপর সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকাকালীন সন্দেহজনক একটি নৌকা দেখতে পায় তারা। থামার সংকেত দিলে নৌকার আরোহীরা কোস্টগার্ডের দিকে গুলি ছোড়ে এবং পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। আত্মরক্ষার্থে কোস্টগার্ডও পাল্টা গুলি চালায় এবং প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর নৌকাটি আটক করতে সক্ষম হয়। ওই সময় তিনজনকে আটক করা হলেও আরও চারজন সাগরে ঝাঁপ দিয়ে পালিয়ে যায়।
কোস্টগার্ড মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ বলেন, আটক তিনজনই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিয়াদ সাঈদ চৌধুরী বলেন, ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কোস্টগার্ড সদস্যরা গুলিবিদ্ধ আবদুল শুক্কুরকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে দ্রুত কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, কোস্টগার্ড ও মাদক কারবারিদের মধ্যে গোলাগুলির বিষয়ে শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদক পাচারের জন্য টেকনাফ উপকূলীয় এলাকা দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও মাদক চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকলে মাদক নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও অগ্রগতি আশা করা যায়।