জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান হাইকোর্টে আপিল করতে যাচ্ছেন। এ উদ্দেশ্যে আপিল দায়েরের ক্ষেত্রে ৫৮৭ দিন বিলম্ব হয়েছে উল্লেখ করে দায়ের করা একটি আবেদন হাইকোর্ট মঞ্জুর করেছেন।
আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামানের একক বেঞ্চ এই আদেশ দেন। শুনানিতে জুবাইদা রহমানের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও কায়সার কামাল। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
আইনজীবী কায়সার কামাল জানান, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী নিয়ম মেনে বিলম্ব মার্জনার আবেদন করা হয়েছিল এবং হাইকোর্ট সেটি গ্রহণ করেছেন। এখন নিয়ম মেনে আপিল দায়ের করা হবে।
মামলাটির রায় হয়েছিল ২০২৩ সালের ২ আগস্ট। সেই রায়ে তারেক রহমানকে ৯ বছর এবং তাঁর স্ত্রী জুবাইদা রহমানকে ৩ বছর কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। এই মামলায় অভিযোগ ছিল, তাঁরা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন এবং সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন।
তবে গত বছরের ২২ সেপ্টেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জুবাইদা রহমানের সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে। এতে বলা হয়, জুবাইদা রহমানের দণ্ড স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের ভিত্তিতে এবং আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ১৭ বছর যুক্তরাজ্যে অবস্থানের পর ৬ মে দেশে ফেরেন জুবাইদা রহমান। তিনি ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। দেশে ফিরে তিনি আদালতে আপিল দায়েরের প্রস্তুতি নেন এবং বিলম্ব মার্জনার আবেদন করেন, যা আজ আদালতে গৃহীত হয়।
এই মামলার সূত্রপাত ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর, যখন দুদক রাজধানীর কাফরুল থানায় তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করে। পরের বছর তাঁদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
এই মামলাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা বলছেন, উচ্চ আদালতের আপিল প্রক্রিয়ায় এখন মূল বিচারকার্য ও রায়ের যৌক্তিকতা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে।
4o