চট্টগ্রামের মুরাদপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী ছাত্রসেনা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশের সঙ্গে সমন্বিতভাবে ‘লাঠিয়াল বাহিনী’ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনা।
আজ সোমবার বিকেলে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড়ে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ সাহেদুল আলম এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ পালনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী একত্রে আমাদের ওপর চড়াও হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রামের মুরাদপুর, অক্সিজেন মোড়, রাঙ্গুনিয়া, বাঁশখালী ও ফটিকছড়ি এলাকায় পুলিশি হামলা ও লাঠিচার্জে বহু নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন, যাদের অনেকে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের কেন্দ্রীয় সদস্য এনাম রেজা, মিডিয়া সেলের প্রধান ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ। তারা জানান, শুধু চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা থেকেই ১৪ জন ও চান্দগাঁও থানা এলাকা থেকে ১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সারা দেশ থেকে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীর সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য।
সংগঠনের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্য ও ‘লাঠিয়াল’ বাহিনীকে চিহ্নিত করে বিচার করতে হবে এবং আটক নেতা-কর্মীদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রসেনার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজকের হামলার প্রতিবাদে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল তিনটায় দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি জেলা ও মহানগরে রাজপথে অবস্থান নেবে ছাত্রসেনা। ঢাকা ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে কালো পতাকা মিছিলও করা হবে।
নেতারা বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের পক্ষপাতী, কিন্তু ন্যায়বিচারের প্রশ্নে কোনো আপস করব না।’
এর আগে আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চট্টগ্রামের মুরাদপুর মোড়ে ছাত্রসেনা ও আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। এই অবরোধ চলাকালে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়।