রাজনীতিতে সক্রিয় থাকতে এবং পদ পেতে আবারও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন ছাত্রদলের এক নেতা, যিনি সাত বছর আগে এইচএসসি পাস করেছিলেন। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে এই ব্যতিক্রমী ঘটনাটি ঘটিয়েছেন মেহেরাব হোসেন নামের ওই ছাত্রদল নেতা।
মেহেরাব হোসেন ২০১৭ সালে কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকেই এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হন, তবে বিদেশ চলে যাওয়ায় তাঁর ভর্তি বাতিল হয়ে যায়। গত বছরের আগস্টে দেশে ফিরে তিনি ফের সক্রিয় হন কলেজ ছাত্রদলের রাজনীতিতে।
সম্প্রতি তিনি একই কলেজের বিএমটি (বিজনেস ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড টেকনোলজি) শাখায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছেন। লক্ষ্য—ছাত্রদলের কলেজ শাখার সভাপতির পদ পাওয়া। বিষয়টি ইতোমধ্যে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিস্ময় তৈরি করেছে। কলেজ সূত্র বলছে, বিএমটি কোর্স এইচএসসি সমমানের হলেও, একজন এইচএসসি পাস শিক্ষার্থী পুনরায় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হওয়া সাধারণত দেখা যায় না।
ছাত্রদলের একজন কর্মী শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কৌশলবাজদের হাতে ছাত্রদলের পদ আটকে থাকায় নতুন নেতৃত্ব আসছে না। তাই কেউ কেউ এমন কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছেন।’
মেহেরাব হোসেন নিজেও স্বীকার করেছেন একাদশ শ্রেণিতে তাঁর ভর্তির কথা। তাঁর ভাষায়, ‘ছাত্রদলের রাজনীতিতে থাকার কারণে ছাত্রলীগের হামলা ও মামলার মুখে পড়েছিলাম। সে সময় পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় আবার পড়াশোনায় মনোযোগী হতে চাচ্ছি। স্নাতকে ভর্তি হওয়া জটিল, তাই একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছি।’
তিনি আরও জানান, তিনি কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির পদপ্রার্থী। দল তাঁকে যোগ্য মনে করলে পদ দেবেই।
কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রিয়ব্রত চৌধুরী বলেন, বিষয়টি তাঁর নজরে এসেছে। একজন এইচএসসি পাস শিক্ষার্থী একাদশ শ্রেণিতে পুনরায় ভর্তি হওয়ায় তিনি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
এই ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসন, ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠেছে। এটি রাজনৈতিক কৌশল না শিক্ষাগত প্রয়োজনে নেওয়া পদক্ষেপ—তা নিয়েও চলছে বিতর্ক।
আপনি চাইলে এই প্রতিবেদনটি ফেসবুক, ইউটিউব বা ইনস্টাগ্রামে ছোট ফরম্যাটে ব্যবহার করার জন্যও তৈরি করে দিতে পারি। কি দরকার আপনার?