চার মাসের চিকিৎসা শেষে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটের পর কাতারের রাজপরিবারের বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তিনি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দুই পুত্রবধূ—ডা. জুবাইদা রহমান এবং সৈয়দা শামিলা রহমান।
বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা। দলীয় চেয়ারপারসনকে একনজর দেখতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে নেতা-কর্মীরা ভোর থেকেই জড়ো হন বিমানবন্দর সড়কে। অনেকে হাতে ফুল, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড ও খালেদা জিয়ার ছবি নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন। “গণতন্ত্রের নেত্রী” ও “মা ফিরে এসেছেন” স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে আশপাশের এলাকা।
বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়া সরাসরি গুলশানের নিজ বাসভবন ফিরোজায় যাবেন। তাঁর যাত্রাপথে ভিড় সামলাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন খালেদা জিয়া। সেখানে তিনি লন্ডন ক্লিনিকে ১৭ দিন ভর্তি ছিলেন। অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নেওয়ার পর তিনি বড় ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করছিলেন। তাঁর শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে লন্ডনে পাঠিয়েছিলেন এবং একই বিমানে তিনি আজ দেশে ফিরলেন।
লন্ডন ছাড়ার সময় হিথরো বিমানবন্দরে খালেদা জিয়াকে বিদায় জানান তারেক রহমান। তিনিই মাকে নিজ বাসা থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, দলীয় নেতারা আশা করছেন, খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা রাজনীতিতে নতুন গতি আনবে। তাঁরা মনে করছেন, এই মুহূর্তে খালেদা জিয়ার উপস্থিতি রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং দলের নেতা-কর্মীদের মনোবল চাঙা করবে।