কুষ্টিয়া শহরে চিকিৎসক দম্পতির ওপর সংঘবদ্ধ হামলার ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের সামনে এই কর্মসূচিতে জেলার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চিকিৎসক, শিক্ষক এবং সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ৫ মে কোর্টপাড়া এলাকার একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখতে গিয়ে চিকিৎসক শারমিন সুলতানা ও তাঁর স্বামী মুহাম্মদ মাসুদ রানা সংঘবদ্ধ হামলার শিকার হন। হামলাকারীরা রিকশা থেকে নামার পরপরই ওই নারী চিকিৎসককে টেনেহিঁচড়ে রাস্তায় ফেলে মারধর করে। পরে তাঁর স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও মারধরের শিকার হতে হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ দেড় লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
চিকিৎসকরা অভিযোগ করেন, এটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত একটি হামলা। তাঁরা হামলার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবি জানান। এক চিকিৎসক বলেন, “চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে দেশের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা হুমকির মুখে পড়বে।”
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের কয়েকজন শিক্ষক বলেন, “চিকিৎসকদের ওপর হামলা শুধু একজন ব্যক্তির নয়, এটি গোটা সমাজ ও পেশার ওপর হামলা। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় আরও কয়েকজন অজ্ঞাতপরিচয় আসামি রয়েছেন, যাদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে। প্রয়োজনে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান তিনি।
চিকিৎসক সমাজ প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় না আনা হলে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আরও বাড়বে। তারা এ আন্দোলনকে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে সামাজিক সচেতনতার অংশ বলে উল্লেখ করেন।