কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ধাপের ভর্তি শেষ, ফাঁকা ৩৯১টি আসন

News Desk

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ধাপের ভর্তি শেষ, ফাঁকা ৩৯১টি আসন. Dhakainlight.com

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের প্রথম ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়েছে। প্রথম ধাপে মোট ৬৩৯ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্তভাবে ভর্তি হয়েছেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি ইউনিটে এখনও ফাঁকা রয়েছে ৩৯১টি আসন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার (১৭ মে) প্রথম ধাপের ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয়। আগামী দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশের প্রস্তুতি চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ ইউনিটে (বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ) মোট ৩৫০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ১৯৯ জন শিক্ষার্থী। ফলে এই ইউনিটে ফাঁকা রয়েছে ১৫১টি আসন। এর মধ্যে বিভাগভিত্তিক আসন ফাঁকা রয়েছে—ফার্মেসিতে ২৯, রসায়নে ২১, গণিতে ১১, পদার্থবিজ্ঞানে ২০, পরিসংখ্যানে ২০, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (CSE)–এ ২৪ এবং ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ICT) বিভাগে ২৬টি।

বি ইউনিটে (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) মোট ৪৪০টি আসনের বিপরীতে ভর্তি হয়েছেন ২৯৭ জন। এখানে ফাঁকা রয়েছে ১৪৩টি আসন। এর মধ্যে আইন বিভাগে ১৩, ইংরেজিতে ২০, অর্থনীতিতে ১৫, লোকপ্রশাসনে ২১, বাংলায় ২৪, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় ১৩, নৃবিজ্ঞানে ২৩ এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ১৪টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

সি ইউনিটে (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ) ২৪০টি আসনের মধ্যে ভর্তি হয়েছেন ১৪৩ জন শিক্ষার্থী। ফলে এখানে ফাঁকা রয়েছে ৯৭টি আসন। বিভাগভিত্তিক ফাঁকা আসন রয়েছে—ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগে ১৬টি, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমসে ২৬, মার্কেটিংয়ে ৩০ এবং ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ২৫টি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম মেধাতালিকা প্রকাশিত হয় ৮ মে। এরপর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের ১২ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত নির্ধারিত সময় ও স্থানে গিয়ে সশরীরে ভর্তির ফরম সংগ্রহ করে বিভাগে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করতে বলা হয়। সেই অনুযায়ী ভর্তি কার্যক্রম শেষ হয় ১৭ মে।

রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন জানান, দ্বিতীয় মেধাতালিকা প্রকাশের পর দ্রুত সময়ের মধ্যেই অবশিষ্ট আসনগুলো পূরণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়া নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরু হবে আগামী ১ জুলাই থেকে।

এ বছর কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছপদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ করে। দীর্ঘ চার বছর পর এ ব্যবস্থা চালু হয়। গত ১৯ এপ্রিল এ ও সি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ফল প্রকাশ হয় ২২ এপ্রিল রাত ১২টার পর। ২৫ এপ্রিল বি ইউনিটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং ফল প্রকাশ হয় ২৭ এপ্রিল রাতে।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ হাজার ৩০টি আসনের বিপরীতে আবেদন জমা পড়ে ৬৬ হাজার ৪০২টি। সে হিসেবে প্রতি আসনের বিপরীতে আবেদনকারীর সংখ্যা ছিল ৬৪ জন। ভর্তি পরীক্ষার নম্বর ছিল মোট ১২০। এর মধ্যে ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা ও ২০ নম্বর নির্ধারিত হয়েছে এসএসসি ও এইচএসসির জিপিএর ভিত্তিতে।

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশা করছে, দ্বিতীয় ধাপে অবশিষ্ট আসনগুলো পূরণ করে নির্ধারিত সময়েই শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হবে।

4o

Leave a Comment

Footer Section