কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো ১২ জন নাগরিককে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভূরুঙ্গামারী থানা চত্বর থেকে পরিবারের সদস্যদের কাছে তাঁদের তুলে দেওয়া হয়।
শুক্রবার গভীর রাতে এই ১২ জনকে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। এরপর শনিবার সকালে ভূরুঙ্গামারী সদরের কামাত আঙ্গারিয়া ভাসানীর মোড় এলাকা থেকে তাঁদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পরে তাঁদের ভূরুঙ্গামারী থানায় হস্তান্তর করা হয়। সেখানেই পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাতে হস্তান্তরের ব্যবস্থা করে।
আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনটি পরিবারের সদস্য হিসেবে ৩ জন শিশু-কিশোর, ৪ জন পুরুষ ও ৫ জন নারী ছিলেন। তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ভারতে অবস্থান করছিলেন এবং প্রাপ্তবয়স্ক সদস্যরা বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। আটক ব্যক্তিরা জানান, তাঁরা কাজের সন্ধানে ভারতে গিয়েছিলেন এবং সম্প্রতি বিএসএফ তাঁদের আটক করে সীমান্তে নিয়ে আসে। শুক্রবার গভীর রাতে তাঁদের সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে প্রবেশ করানো হয়।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল হেলাল মাহমুদ বলেন, আটক ব্যক্তিদের ফুলবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগের পর রাতেই সবাইকে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি এ ধরনের ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় সীমান্ত এলাকায় নজরদারি বাড়ানোর তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এর আগে বিজিবি কাজের সন্ধানে ভারতে যাওয়া আরও ২৪ বাংলাদেশিকে ফেরত এনেছিল। স্থানীয় প্রশাসন বলছে, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এমন অনুপ্রবেশ ঠেকাতে হবে।