জর্জিয়ার কবে কাউন্টিতে এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যক্তি মহেন্দ্র প্যাটেলকে ওয়ালমার্টে এক নারী ও তার দুই সন্তানের সঙ্গে এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, তিনি ওই নারীর দুই বছরের ছেলেকে কোলে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু প্যাটেলের আইনজীবী অ্যাশলি মার্চেন্ট দাবি করেছেন, surveillance ভিডিও প্রমাণ করে, এটি কোনো অপহরণ নয়—বরং প্যাটেল শিশুটিকে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাতে চেয়েছিলেন।
ঘটনাটি ঘটে ১৮ মার্চ, জর্জিয়ার অ্যাকওয়ার্থ শহরের একটি ওয়ালমার্টে। ভিডিওতে দেখা যায়, প্যাটেল দোকানে প্রবেশ করে একটি মোটরচালিত স্কুটারে বসা এক নারী—ক্যারোলিন মিলার—ও তার দুই সন্তানের কাছে যান এবং টাইলনল খুঁজে পেতে সাহায্য চান। এরপর তিনি স্কুটারটির পাশে হাঁটতে থাকেন এবং হঠাৎ করেই সামনে একটি ডিসপ্লের ধাক্কায় স্কুটারটি ঝাঁকুনি খায়। তখনই প্যাটেল সামনের শিশুটিকে ধরে ফেলে—যা ক্যামেরার এক কোণে দৃশ্যমান।
মিলার দাবি করেন, প্যাটেল তার ছেলেকে কোলে তুলে নিতে চেয়েছিলেন এবং তিনি টান দিয়ে ছেলেকে ফিরিয়ে নেন। কিন্তু আইনজীবী মার্চেন্ট বলেন, ভিডিওতে কোনো ধরনের টানাটানি, মারধর বা শিশুকে অপহরণ করার চেষ্টা দৃশ্যমান নয়। বরং তা ছিল কয়েক সেকেন্ডের প্রতিক্রিয়া।

ভিডিওতে দেখা যায়, প্যাটেল ঘটনার পরপরই সরে যান এবং পরে আবার ফিরে এসে মিলারকে খুঁজে পাওয়া টাইলনল দেখান। মিলার তখন তাকে থাম্বস-আপ ইঙ্গিত দেন এবং প্যাটেল নিজের পণ্য কিনে বেরিয়ে যান।
তবে পরে মিলার ওয়ালমার্ট কর্মীদের জানান, প্যাটেল তার সন্তানকে ধরে নিয়েছিলেন এবং তিনি শিশুটিকে ফিরিয়ে নেন। এরপর পুলিশে খবর দেওয়া হলে, প্যাটেলকে ৩ দিন পর গ্রেফতার করা হয়।
এখনো পর্যন্ত কোনো জামিন না মেলায় প্যাটেল ৪৩ দিন ধরে কারাগারে রয়েছেন। যদিও তার আইনজীবী জানান, তিনি কখনোই ঘটনাটি অস্বীকার করেননি বরং বলেছেন, শিশুটিকে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন।
প্যাটেলের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল অ্যাটেম্পট টু কমিট কিডন্যাপিং, সিম্পল অ্যাসল্ট ও সিম্পল ব্যাটারির অভিযোগে গ্র্যান্ড জুরি চার্জ গঠন করেছে। তবে আইনজীবীর ভাষ্যমতে, রাজ্যের অ্যাটর্নি অফিস জামিনে আপত্তি জানাচ্ছে এবং এখনও কোনো বিচারকের সামনে তোলা হয়নি প্যাটেলকে।
এই ঘটনায় প্যাটেলের পরিবার দারুণ বিপদে পড়েছে। তার দুই কন্যা ও বৃদ্ধা মায়ের দেখভাল ও পারিবারিক ব্যবসাও ক্ষতির মুখে পড়েছে।

একটি Change.org পিটিশনে প্যাটেলকে নির্দোষ বলে দাবি করা হয়েছে এবং তার মুক্তি চাওয়া হয়েছে।
এখন সবার দৃষ্টি মঙ্গলবারের নির্ধারিত জামিন শুনানির দিকে।