যশোরের মণিরামপুর উপজেলার দুর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সহকর্মীর হাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীর দাবি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে সহকর্মীর বিরুদ্ধে নালিশ করায় তাকে বিদ্যালয়ের বারান্দায় প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত করা হয়।
অভিযোগকারী রবিউল ইসলাম বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিষয়ের সহকারী শিক্ষক। অভিযুক্ত এস এম মজনুর রহমান আইসিটি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক, পাশাপাশি বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির মণিরামপুর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় একটি জাতীয় দৈনিকের প্রতিনিধি এবং মণিরামপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি।
ঘটনার বিষয়ে রবিউল ইসলাম মঙ্গলবার রাতে মণিরামপুর থানাসহ জেলা প্রশাসক এবং ইউএনও বরাবর পৃথক লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তাঁর দাবি, মজনুর রহমান বিদ্যালয়ের নিয়মনীতি মানেন না। ইউএনও পরিদর্শনে এলে তিনি বিষয়টি মৌখিকভাবে তাকে জানান। ইউএনও চলে যাওয়ার পর দুপুর একটার দিকে বিদ্যালয়ের বারান্দায় মজনুর রহমান তাঁকে গালাগাল করেন এবং পরে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে রবিউলের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়।
অভিযুক্ত মজনুর রহমান তাঁর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, “রবিউল ইসলাম ইউএনওর কাছে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। আমি বিষয়টি জানতে চাইলে ধাক্কাধাক্কি হয় এবং দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে তার মাথায় আঘাত লাগে।”
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার জানান, দুই শিক্ষকের মধ্যে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করা নিয়ে বাকবিতণ্ডা এবং ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, তবে মারধরের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি মনে করেন।
এ বিষয়ে ইউএনও নিশাত তামান্না এবং মণিরামপুর থানার ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, অভিযোগ পেয়েছেন এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঘটনাটি শিক্ষক সমাজে উত্তেজনা ও ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। স্থানীয় পর্যায়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ এবং শৃঙ্খলা রক্ষায় দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবক ও এলাকাবাসী।