ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ৬ জুন। এবার শুধু হাসির খোরাক নয়, যোগ হয়েছে রোমাঞ্চ আর রহস্য—তাই ছবির ট্যাগলাইন, ‘কিলার কমেডি’। উপস্থিত ছিলেন অক্ষয় কুমার, নানা পাটেকর, অভিষেক বচ্চন, রিতেশ দেশমুখ, জ্যাকি শ্রফ, শ্রেয়াস তলপড়ে, চাংকি পান্ডে, ডিনো মোরিয়া, ফারদিন খান, রঞ্জিত, জনি লিভার, জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ, নার্গিস ফখরি, চিত্রাঙ্গদা সিং, সোনম বাজওয়া—শুধু ছিলেন না সঞ্জয় দত্ত।
ফ্র্যাঞ্চাইজির শুরু থেকেই আছেন অক্ষয় কুমার। অনুষ্ঠানে জানান, ‘এই সিরিজে আমি আছি ১৫ বছর ধরে। সাজিদ এই ছবির জন্ম দিয়েছে, পরিচালনা বাদে প্রায় সব কিছু ও-ই করেছে। ৫০ বছর ধরে ওকে চিনি।’ তরুণ মনসুখানির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ‘সে প্রতিদিন ১৮-১৯ ঘণ্টা কাজ করেছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, এত পরিশ্রম কেন? উত্তরে বলেছিল, “১২ বছর পর আবার সুযোগ পেয়েছি, এখন শুধু কাজ করতেই চাই।”’
কমেডি প্রসঙ্গে অক্ষয় বলেন, ‘স্ল্যাপস্টিক কমেডি সহজ নয়। নানা, রিতেশ, শ্রেয়াস সবাই দুর্দান্ত করেছে। আমি নিজে চ্যাপলিনের ভক্ত। সব সময় ওয়ালেটে ওর একটা ছবি রাখি।’ এরপর তিনি সেই ছবি বের করে উপস্থিত সবাইকে দেখান।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ‘হেরা ফেরি ৩’ নিয়ে পরেশ রাওয়ালের সরে দাঁড়ানো ও সোশ্যাল মিডিয়ার মন্তব্য প্রসঙ্গে। জবাবে অক্ষয় বলেন, ‘আমার সহ–অভিনেতাকে “ফুলিশ” বলা একদমই ঠিক নয়। আমরা ৩২ বছর ধরে একসঙ্গে কাজ করছি, তাঁকে আমি শ্রদ্ধা করি। বিষয়টি এখন আদালতের হাতে, এখানে কিছু বলব না।’
নানা পাটেকর প্রথমবার এই সিরিজে কাজ করেছেন। তিনি বলেন, ‘পরিচালক আর টাকা—এই দুই বিষয়ে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম। চরিত্রটাও ভালো ছিল।’ তিনি আরও মজা করে তরুণ মনসুখানিকে বলেন, ‘১২ বছর পর ফিরলেন, এবার ১২ বছর টানা কাজ করুন, তারপর অবসর নিন।’
অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি মজার ছিলেন কে? এমন প্রশ্নের জবাবে জ্যাকি শ্রফ বলেন, ‘সবচেয়ে বড় দুষ্টুমি করে অক্ষয় কুমার। ও এক নম্বর বদমাশ।’
অভিষেক বচ্চন বলেন, ‘তরুণকে ১৬ বছর বয়স থেকে চিনি। তার কামব্যাকে আমি খুব খুশি।’ চিত্রাঙ্গদা সিং বলেন, ‘এই প্রথম এত বড় তারকাদের সঙ্গে কমেডি করলাম। শুরুতে খুব নার্ভাস ছিলাম, এখন পর্দায় নিজেকে দেখে হালকা লাগছে।’
হাউসফুল ৫-এর ভক্তদের জন্য বড় চমক অপেক্ষা করছে ৬ জুন। ছবির তারকা মিছিল, ট্যাগলাইন, এবং অক্ষয়ের ভেতরের চার্লি চ্যাপলিন প্রীতি—সব মিলিয়ে বলিউডে বড়সড় হাসির বিস্ফোরণ ঘটাতে চলেছে এই কিস্তি।