বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান জানিয়েছেন, দেশে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সমতল মাঠ তৈরি হলে যেকোনো সময় নির্বাচনে অংশ নিতে দলটি প্রস্তুত। রাজধানীর বনানীর একটি হোটেলে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন তিনি। এ সময় জামায়াতের নিবন্ধনসংক্রান্ত সর্বোচ্চ আদালতের রায়সহ সমসাময়িক রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে দলের অবস্থান তুলে ধরেন।
শফিকুর রহমান বলেন, “আমরা ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত একটা ফ্লেক্সিবল সময় বলেছি। প্রথমে ফেব্রুয়ারি বলেছিলাম, পরে এপ্রিল পর্যন্ত করেছি। অন্যদিকে বিএনপি ডিসেম্বরকে নির্দিষ্ট করেছে। এখন যদি ডিসেম্বরে নির্বাচন হয় এবং সেখানে দেখি সত্যিকারের সমতল মাঠ তৈরি হয়েছে, জাতি প্রস্তুত, সব প্রতিষ্ঠান নির্বাচন উপযোগী, তাহলে সেই নির্বাচনেও অংশ নিতে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “সমতল মাঠ তৈরির বিষয়টি নিশ্চিত না করে শুধু ডিসেম্বর, ফেব্রুয়ারি কিংবা এপ্রিল বলে নির্বাচন দিলে লাভ হবে না। আগে নিশ্চিত করতে হবে সবার জন্য সমান সুযোগ আছে কি না। সেটাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”
জামায়াত আমির বলেন, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কিংবা এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের পক্ষেই তাঁরা মত দিয়েছেন। কারণ, এর পর আবহাওয়া নির্বাচনের জন্য অনুকূল থাকবে না। বিশেষ করে মে মাসের পর প্রচণ্ড গরমে ভোটগ্রহণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রবাসী ভোটারদের নিয়েও বক্তব্য রাখেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রবাসীরা এই দেশের নাগরিক। তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ থাকতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছি, যেন প্রবাসীরা ভোট দিতে পারেন, সে ব্যবস্থা করা হয়। এটা কোনো অসম্ভব কাজ নয়। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা এখনো কোনো অগ্রগতি দেখছি না।”
অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও তাঁদের পর্যবেক্ষণ আছে। বিচারব্যবস্থার স্বাধীনতা, দলীয় প্রতীক এবং জামায়াতের নিবন্ধন ইস্যুতেও বক্তব্য দেন তিনি।
শফিকুর রহমানের ভাষ্যমতে, নির্বাচন কমিশনের উচিত হবে সব রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা, যাতে করে ভোটাররা তাঁদের ইচ্ছেমতো প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারেন। অবাধ, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া গণতন্ত্র শক্তিশালী হতে পারে না বলেও তিনি মন্তব্য করেন।