২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সংস্কৃতি খাতে কিঞ্চিৎ বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হলেও তা মোটেও সন্তোষজনক নয় বলে মনে করছে থিয়েটার আর্টিস্টস অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকা (টাড)। সংগঠনের প্রেসিডেন্ট বিশিষ্ট অভিনেতা আজাদ আবুল কালাম জানিয়েছেন, বছরের পর বছর ধরে অবহেলিত এই খাতের জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়লেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম এবং হতাশাজনক।
আজ মঙ্গলবার সংগঠনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজাদ আবুল কালাম বলেন, “একটি জাতির আত্মপরিচয়, ইতিহাস ও ভবিষ্যৎ নির্মাণে সংস্কৃতি অপরিহার্য। অথচ প্রতি বছরই দেখা যাচ্ছে, সংস্কৃতি খাতকে গুরুত্ব না দিয়ে অবহেলিত করে রাখা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, থিয়েটার, সংগীত, চিত্রকলা কিংবা অন্যান্য শিল্পমাধ্যমে নিয়োজিত সাংস্কৃতিক কর্মীরা নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের জন্য টেকসই অর্থায়ন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং গবেষণাভিত্তিক সংস্কৃতি চর্চার জন্য বাজেটে যে ১ শতাংশ বরাদ্দ চাওয়া হয়েছিল, তা পূরণ করা হয়নি।
টাড-এর সাধারণ সম্পাদক সাইফ সুমনসহ সংগঠনের অন্য নেতারাও এই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাঁরা বলেন, “সংস্কৃতিকে আর বিলাসিতা হিসেবে দেখা চলবে না। বরং একে জাতি গঠনের একটি মৌলিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। নীতি–নির্ধারকদের প্রতি আমাদের আহ্বান, আগামী বাজেটে যেন সংস্কৃতি খাতের জন্য যথোপযুক্ত ও কার্যকর বরাদ্দ নিশ্চিত করা হয়, যাতে এই খাতের বিকাশ ও ধারাবাহিকতা বজায় থাকে।”
সংগঠনটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, থিয়েটার শিল্পীসহ দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনের সঙ্গে যুক্ত সকল শ্রেণির কর্মীরা প্রত্যাশা করেন, সরকার তাদের কর্মক্ষেত্রে সৃজনশীলতার পরিবেশ ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। অতীতের ধারাবাহিক অবহেলার বিপরীতে এবারের বাজেটেও ভিন্ন কিছু দেখতে না পেয়ে তারা চরম হতাশ।
সংগঠনের পক্ষ থেকে ভবিষ্যতে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিকল্পনার মধ্যে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবিও তুলে ধরা হয়েছে।