মাদারীপুরের শিবচরে পূর্বশত্রুতার জেরে সংঘর্ষে আহত তরুণ ইবনে সামাদ (১৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় ফের উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
গত ৬ মে রাতে জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ববিরোধের জেরে সর্দারকান্দি গ্রামে ইবনে সামাদের বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এতে ইবনে সামাদসহ উভয়পক্ষের অন্তত সাতজন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ইবনে সামাদকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়, যেখানে টানা ২১ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ইবনে সামাদ শিরুয়াইল ইউনিয়নের সর্দারকান্দি গ্রামের কালাম সরদারের ছেলে। ঘটনার পর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে শিবচর থানায় ৮ মে একটি মামলা করা হয়, যেখানে ২৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলার অধিকাংশ আসামি জামিনে রয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ইবনে সামাদের মৃত্যুর পর তাঁর স্বজন ও এলাকাবাসীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে অভিযুক্তদের কয়েকটি বাড়িতে হামলা চালান। এতে চারটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। যদিও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজাহান মিয়া জানিয়েছেন, পূর্বের দায়ের করা মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তিনি বলেন, “মাদবর ও সরদার বংশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল, যা এই সংঘর্ষের মূল কারণ।” তিনি আরও জানান, মূল আসামিরা বর্তমানে পলাতক এবং তাঁদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
ইবনে সামাদের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে আজ বিকেলে জানাজা সম্পন্ন করে তাঁকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার জানিয়েছে। পরিস্থিতি যাতে আবার উত্তপ্ত না হয়, সে জন্য পুরো এলাকায় সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।