২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য বাজেট বক্তৃতা শুরু করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ টেলিভিশনে এই বাজেট বক্তৃতা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের মোট আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা।
এই বাজেটের মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বা এডিপির জন্য বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৯ শতাংশ। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এর মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস থেকে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এই ঘাটতি মেটাতে ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এবং ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক উৎস থেকে সংগ্রহের প্রস্তাব রয়েছে।
সরকারি ব্যয়ের বড় অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা ও জনকল্যাণমুখী খাতে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য বরাদ্দ ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা, বেতন-ভাতা বাবদ বরাদ্দ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, সুদ পরিশোধে বরাদ্দ ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা এবং বিদ্যুৎ ও সারে ভর্তুকির জন্য বরাদ্দ ১ লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বরাদ্দ রাখা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগেই জানিয়েছেন, এবারের বাজেট হবে বাস্তবসম্মত, কল্যাণমুখী এবং সমতাভিত্তিক। তিনি বলেন, দেশের প্রবৃদ্ধির সুফল যেন সমাজের প্রতিটি স্তরে পৌঁছে—সেই লক্ষ্য সামনে রেখেই বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে। বাজেটের মাধ্যমে জনগণের জীবনমান উন্নয়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।
