ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ নেত্রকোনার দুর্গাপুর সীমান্ত দিয়ে ৩২ জন বাংলাদেশিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বিজয়পুর সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে তাঁদের পাঠানো হয়। পরে বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি তাঁদের আটক করে।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৩ জন শিশু, ২১ জন নারী এবং ৮ জন পুরুষ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তাঁরা দেশের বিভিন্ন জেলা—যশোর, খুলনা, নড়াইল, সাতক্ষীরা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও টাঙ্গাইলের বাসিন্দা। এদের কেউ কেউ ২ মাস আগে, আবার কেউ ১০ বছর আগে ভারতে গিয়েছিলেন।
৩১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম কামরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাতে বিএসএফ সীমান্ত দিয়ে ৩২ জনকে ঠেলে পাঠায়। তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে এবং বর্তমানে বিজিবির বিজয়পুর ক্যাম্পে তাঁদের রাখা হয়েছে। আইন অনুযায়ী, তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এদিকে আজ বুধবার সকালে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের বিরিশিরি এলাকা থেকে আরও ৮ জন বাংলাদেশিকে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করেছে সেনাবাহিনী। পরে তাঁদের পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৫ জন নারী ও ৩ জন পুরুষ। তাঁরা নিজেদের নড়াইল, যশোর, ঝিনাইদহ, রাজশাহী ও খুলনার বাসিন্দা বলে দাবি করেছেন। দীর্ঘদিন ভারতে অবস্থানের পর তাঁরা গতকাল রাতেই দুর্গাপুর উপজেলার একটি সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করেন।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানিয়েছেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ৫৪ ধারায় মামলা করা হচ্ছে এবং আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
এই ধরনের ঠেলে পাঠানোর ঘটনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে উদ্বেগজনক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে যোগাযোগ হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।