বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক হিসেবে দাঁড়িপাল্লা ফিরে পাওয়া দলটির সাংবিধানিক অধিকার ও দলগত স্বীকৃতি।
আজ সোমবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে দলটির নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল হওয়ায় তাঁরা সৃষ্টিকর্তার কাছে শুকরিয়া জানান এবং আগের মতোই সব অধিকার দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান নির্বাচন কমিশনের কাছে।
রবিবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ হাইকোর্টের ২০১৩ সালের জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল করে। একই সঙ্গে, গঠনতন্ত্র, নিবন্ধন বা কোনো অনিষ্পন্ন বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক কর্তৃত্ব প্রয়োগ করে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়।
বৈঠকে হামিদুর রহমান জানান, ২০১৩ সালের আগে জামায়াতের প্রার্থীরা যেভাবে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন, ঠিক সেভাবেই তাঁদের প্রতীক পাওয়ার অধিকার রয়েছে। এটি আদালতের নির্দেশ এবং এখান থেকে সরে আসার কোনো সুযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিবাদী সরকার অন্যায়ভাবে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেছিল।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সচিব আখতার আহমেদ।
জামায়াতের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য জসিম উদ্দিন সরকার ও আইনজীবী শিশির মনির।
বৈঠক শেষে হামিদুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশন তাঁদের অনুরোধের ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে এবং আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের বিষয়ে তাঁরা আশাবাদী।