নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী অপহরণ, পটুয়াখালীর ফেরিঘাটে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

News Desk

নারায়ণগঞ্জে ব্যবসায়ী অপহরণ, পটুয়াখালীর ফেরিঘাটে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার. Dhakainlight.com

নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী সোহাগকে অপহরণের পর পটুয়াখালীর পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা থেকে হাত-পা, চোখ-মুখ বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর শরীরে মারধরের চিহ্ন ছিল এবং গায়ের শার্ট রক্তে ভেজা ছিল। সোমবার দুপুরে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাঁরা একটি প্রাইভেট কারের ভেতর থেকে হর্ন বাজানো ও এক ব্যক্তির ইশারা দেখতে পান। পরে তাঁরা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে সোহাগকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী সোহাগ জানান, তিনি নারায়ণগঞ্জ সদরের নিউ চাষাঢ়ার জামতলা এলাকার বাসিন্দা এবং একটি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। গত রোববার রাতে অফিস থেকে বাসায় ফেরার পথে সরকারি তোলারাম কলেজের সামনে তাঁর গাড়িতে দুর্বৃত্তরা জোরপূর্বক উঠে পড়ে। এরপর তাঁকে হাত-পা ও মুখ বেঁধে মারধর করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরানো হয়। ভোরে তাঁকে ফেলে রাখা হয় পটুয়াখালীর ফেরিঘাট এলাকায়।

পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর সোহাগের স্ত্রী হেলিকপ্টারে পটুয়াখালীতে এসে তাঁকে ঢাকায় নিয়ে যান। এর আগে তিনি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সোহাগ এখনো বিস্তারিত তথ্য দেননি এবং অপহরণের বিষয়ে মুখ খোলেননি। চিকিৎসার প্রয়োজনীয়তার কথা বিবেচনা করে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি।

এ বিষয়ে পটুয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বলেন, সোহাগকে উদ্ধার করে দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে অপহরণের ঘটনায় তিনি বিস্তারিত কিছু বলেননি। অপরদিকে, নারায়ণগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির আহম্মেদ জানান, ঘটনাটি ফতুল্লা থানার অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় আইনগত পদক্ষেপ সেখান থেকেই নেওয়া হবে।

ঘটনার প্রকৃত রহস্য ও অপহরণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনও পরিষ্কার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছে। ঘটনাটি নিয়ে স্থানীয় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

Footer Section