নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ পরশু, ১৫ লাখ তরুণের জমায়েতের প্রত্যাশা

News Desk

নয়াপল্টনে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ পরশু, ১৫ লাখ তরুণের জমায়েতের প্রত্যাশা. dhakainlight.com

আগামী বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। এই আয়োজন করেছে বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন—জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল। আয়োজকেরা দাবি করেছেন, ঢাকা, সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহ থেকে সমাবেশে প্রায় ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী অংশ নেবেন।

আজ সোমবার বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না।

বক্তব্যে জানানো হয়, মে মাসজুড়ে তরুণদের সম্পৃক্ত করতে ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করেছে তিন সংগঠন। এর মধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও বগুড়ায় ইতিমধ্যে সমাবেশ হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি সেমিনার এবং পরদিন বুধবার হবে মূল সমাবেশ।

সংবাদ সম্মেলনে এস এম জিলানী বলেন, “আমরা চট্টগ্রামে তারুণ্যের মিলনমেলা দেখেছি। খুলনা ও বগুড়ায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এবার ঢাকায় সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের প্রত্যাশা—১৫ লাখ তরুণ এই সমাবেশে অংশ নেবেন।”

যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম বলেন, “বিগত সরকার দলীয় পরিচয়ে চাকরি দিয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে প্রথম ১৮ মাসের মধ্যেই এক কোটি তরুণের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে।”

লিখিত বক্তব্যে আরও বলা হয়, এই সমাবেশ কেবল রাজনৈতিক কোনো ইভেন্ট নয়—এটি তরুণদের নিয়ে একটি বৃহৎ নীতিগত প্রয়াস। রাষ্ট্র গঠনে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করাই এই আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন এবং তরুণ প্রজন্মের সামনে দলের রাষ্ট্রচিন্তা, রাজনৈতিক রূপরেখা ও ভবিষ্যৎ কৌশল উপস্থাপন করবেন।

এ ছাড়া উপস্থিত থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদ।

আয়োজকেরা জানিয়েছেন, ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে এবং সুশৃঙ্খল পরিবেশে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এই কর্মসূচির মাধ্যমে দেশের তরুণ প্রজন্মের রাজনৈতিক সচেতনতা ও সম্পৃক্ততা নতুন মাত্রায় পৌঁছাবে বলে প্রত্যাশা করছেন সংগঠনগুলোর নেতারা।

Leave a Comment

Footer Section