ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও সাবেক তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলককে নতুন একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। একইসঙ্গে ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা শাহে আলম মুরাদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এসব আদেশ দেন। আদালত–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গুলশান থানার একটি মামলায় সালমান এফ রহমানকে, মিরপুর থানার মামলায় আনিসুল হক ও জুনাইদ আহমেদ পলককে এবং উত্তরা পূর্ব থানার মামলায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এর আগে কারাগারে থাকা অবস্থায় সালমান, আনিসুল ও পলককে আদালতে হাজির করে পুলিশ। পরে নতুন মামলায় তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেন এবং তাঁদেরকে পুনরায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে, নিউমার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে চায় পুলিশ। তবে আসামিপক্ষ থেকে রিমান্ডের বিরোধিতা করে আবেদন খারিজের দাবি জানানো হয়। দুই পক্ষের শুনানি শেষে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৩ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই একে একে গ্রেপ্তার করা হয় সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের সাবেক নেতাদের। প্রথমেই গ্রেপ্তার হন সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক। পরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার হন জুনাইদ আহমেদ পলকসহ অন্যরাও।
এই মামলাগুলোর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কি না—তা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা। তবে প্রশাসন সূত্র বলছে, প্রত্যেকটি মামলায় নিরপেক্ষভাবে তদন্ত চলছে এবং আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এই ঘটনাগুলোর বিচারিক প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা গেছে।