কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং-শামলাপুর সংযোগ সড়কে ৫ জনকে অপহরণের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও এখনো তাঁদের সন্ধান পাওয়া যায়নি। অপহৃতদের মধ্যে রয়েছেন ৪ জন রোহিঙ্গা নাগরিক এবং একজন স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশাচালক। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাঁদের বহনকারী অটোরিকশাটি উদ্ধার করলেও অপহৃতদের কোনো হদিস মেলেনি।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুর ১২টার দিকে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা আবু নোমান জানান, হোয়াইক্যং বাজার থেকে বাহারছড়া যাওয়ার পথে হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কের মাঝপথে একদল সশস্ত্র ডাকাত অটোরিকশাটিকে থামিয়ে চালকসহ ৫ জনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে গভীর পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে যায়। অপহৃতদের মধ্যে ৪ জন রোহিঙ্গা হলেও তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। তবে চালকের নাম জানা গেছে—তিনি হলেন মো. শামসু আলম (৩৫), হোয়াইক্যং ইউনিয়নের দৈংগ্যাকাটার বাসিন্দা এবং নুর আহমেদের ছেলে।
বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শোভন কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, একটি সিএনজি অটোরিকশা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ডাকাতদের হাতে একজন সিএনজি চালক ও চারজন রোহিঙ্গা অপহৃত হয়েছেন। রোহিঙ্গাদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং অপহৃতদের উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই একই এলাকায় এর আগে ২২ মে আরও একটি অপহরণের ঘটনা ঘটে, যেখানে একটি ডাম্প ট্রাকের চালক, একজন মোটরসাইকেল আরোহীসহ ৫ জন অপহৃত হন। তাঁরা পরে কৌশলে পালিয়ে ফিরে আসেন।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী পরিবারের তথ্য অনুযায়ী, গত সাড়ে ১৭ মাসে টেকনাফ ও আশপাশের পাহাড়ি অঞ্চল থেকে অন্তত ২৫১ জন অপহরণের শিকার হয়েছেন। বারবার এমন অপহরণ ঘটনার পরেও পাহাড়ি এলাকায় নিরাপত্তার অভাব ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
স্থানীয়দের দাবি, হোয়াইক্যং-শামলাপুর সড়কটিতে নিয়মিত নিরাপত্তা টহল না থাকার সুযোগ নিয়ে সশস্ত্র ডাকাত ও অপহরণকারী চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে অপহৃতদের উদ্ধারের পাশাপাশি এই এলাকায় স্থায়ী নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানিয়েছেন তারা।