সদ্য গঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন তিন নেতা। তারা হলেন—যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবু হানিফ, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) হানিফ খান সজিব এবং যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুজ জাহের।
গত ৬ মার্চ (বৃহস্পতিবার) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের কাছে তারা পৃথকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তবে দলটির কেন্দ্রীয় একাধিক নেতা জানিয়েছেন, শীর্ষ পদ না পাওয়ায় তারা পদত্যাগ করেছেন।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে এনসিপিতে যোগদান পদত্যাগকারী তিন নেতা ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং পরবর্তীতে গণঅধিকার পরিষদে যুক্ত হন। সেখান থেকে তারা এনসিপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
পদত্যাগের কারণ ব্যাখ্যা এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব মোল্লা মোহাম্মাদ ফারুক এহসান জানিয়েছেন, “তারা প্রত্যেকেই গণঅধিকার পরিষদ থেকে এসেছিলেন। তারা চেয়েছিলেন শীর্ষ ১০ জনের মধ্যে থাকার। কিন্তু না রাখায় তারা ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন।”
এ বিষয়ে আবু হানিফ জানান, তরুণদের বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে এবং তরুণদের মধ্যে বিভেদ এড়াতেই তারা পদত্যাগ করেছেন। তিনি আরও বলেন, “আমি ও আমরা নতুন দলে চলে গেলে তারুণ্যের দুটি অংশ বিভক্ত হয়ে পরস্পরের সঙ্গে বৈরী পরিবেশ তৈরি হতে পারে, যা তরুণদের ঐক্যে বাধা হয়ে দাঁড়াবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নিজ দলের তরুণদের ঐক্যবদ্ধ রেখে সারা বাংলাদেশের তারুণ্যের ঐক্যবদ্ধ রাজনীতি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গণঅধিকার পরিষদকেই রিপ্রেজেন্ট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এনসিপির আত্মপ্রকাশ ও বর্তমান অবস্থা গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক পার্টির আত্মপ্রকাশ ঘটে। দলটিতে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের নেতা আবু হানিফ, হানিফ খান সজিব, আব্দুজ জাহের ও আরিফুল ইসলাম যোগ দিয়েছিলেন। নতুন দলে আবু হানিফ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক, হানিফ খান সজিব যুগ্ম মুখ্য সংগঠক (উত্তর অঞ্চল) এবং আব্দুজ জাহের যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পান।
তবে সদ্য পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া তিন নেতার মধ্যে একমাত্র আরিফুল ইসলাম এনসিপিতে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলটির একাধিক নেতা। তাদের পদত্যাগের পর ওই পদগুলোতে নতুন নেতৃত্ব কারা আসবেন, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।