কারাগারে বই পড়ে সময় কাটছে পলকের, চাইলেন আইনের পাঁচ বই

News Desk

কারাগারে বই পড়ে সময় কাটছে পলকের, চাইলেন আইনের পাঁচ বই. Dhakainlight.com

প্রায় নয় মাস ধরে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দী আছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক। বন্দি অবস্থায় সময় কাটাতে এখন নিয়মিত বই পড়ছেন তিনি। আজ সোমবার আদালতে হাজির হওয়ার পর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে আইনজীবীদের কাছে আইনের পাঁচটি বই চেয়েছেন পলক।

তিনি চেয়েছেন ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি), দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং তাঁর নিজের বক্তব্যভিত্তিক গ্রন্থ ‘জাতীয় সংসদে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক’।

পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন জানিয়েছেন, তিনি নিজেও একজন আইনজীবী ছিলেন। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি উচ্চ আদালত ও জেলা জজ কোর্টে নিয়মিত প্র্যাকটিস করতেন। কারাগারে গিয়ে তিনি আবার আইন পড়া শুরু করেছেন।

কারা সূত্র জানায়, জেল কোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির কারাবন্দীরা নিজেদের সঙ্গে বই রাখতে পারেন, তবে আগে তা কারা কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা করে অনুমোদন দেয়। পলক যে বইগুলো চেয়েছেন, সেগুলো নিয়ম অনুযায়ী সরবরাহের প্রক্রিয়া চলছে।

কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, এই কারাগারে বর্তমানে ২৬ জন ভিআইপি বন্দী রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই প্রথম শ্রেণির বন্দী মর্যাদা ভোগ করছেন। কারাগারে তাঁদের জন্য আলাদা বিশেষ কক্ষ, খাট, টেবিল-চেয়ার, টিভি এবং একটি জাতীয় দৈনিকের ব্যবস্থা রয়েছে।

এদিন আদালতে পলকের সঙ্গে একইসঙ্গে হাজির করা হয় সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক ও শাহে আলম মুরাদকে। পলক গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা না বললেও আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে আলাপ করেন এবং কিছু সময় সহকর্মী মুরাদের সঙ্গেও কথা বলেন।

আদালত প্রাঙ্গণে আনিসুল হক মুরাদকে দেখে কুশল বিনিময় করেন এবং জানতে চান, তিনি কেমন আছেন। মুরাদ জানান, ভালো আছেন। পরে আদালতের শুনানি শেষে সবাইকে পুনরায় হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

সালমান এফ রহমান তাঁর চশমা বদলানোর অনুরোধ জানান এবং মামলার বিস্তারিত জানতে চান। একইসঙ্গে আজ তাঁদের আরও একটি নতুন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় শাহে আলম মুরাদকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

কারাগারে বই পড়া, সহবন্দীদের সঙ্গে আলোচনা এবং আইনের গভীরে ফিরে যাওয়া—সব মিলিয়ে জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের দিনগুলো কাটছে এক ধরনের আত্মসমীক্ষায়। তবে তাঁর ভেতরে এখনও সচল রয়েছে আইনি জ্ঞানচর্চার স্পৃহা, যা হয়তো ভবিষ্যতের জন্য নতুন প্রস্তুতিরই ইঙ্গিত।

Leave a Comment

Footer Section