ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় পুলিশের অভিযানে আটক যুবলীগ নেতা সোহাগ মিয়াকে পালাতে সহায়তা করায় যুবদলের এক নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত ওই নেতার নাম মিজান মিয়া ওরফে মিজানুর রহমান। তিনি বুধন্তি ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
জেলা যুবদলের দপ্তর সম্পাদক আল আমিন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মিজানুর রহমানকে বহিষ্কার করা হয়েছে। জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা এবং সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদের নির্দেশনায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত ১৭ মে রাতে বুধন্তি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ যুবলীগ নেতা সোহাগ মিয়াকে আটক করে। এরপর মিজান মিয়াসহ কয়েকজন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, মিজান পুলিশের ওপর চড়াও হন এবং এসআই সুমন চন্দ্র দাসকে ধাক্কা দিয়ে যুবলীগ নেতা সোহাগকে পালাতে সহায়তা করেন। এ ঘটনায় এসআই সুমন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় মিজানসহ চারজনকে আসামি করা হয়।
ঘটনার একটি ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে দেখা যায়, একটি দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মিজান পুলিশের সঙ্গে কথা বলতে বলতে ধীরে ধীরে এগিয়ে যান এবং হঠাৎ পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে পেছনে ঠেলে দেন, সেই মুহূর্তেই সোহাগ দোকান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যান।
এই ভিডিও প্রকাশের পর জেলা যুবদল মিজানের বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে এবং ১০ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলে। যদিও মিজান দাবি করেছেন, তিনি ইতিমধ্যে জবাব দিয়েছেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, “আমি পালাতে সাহায্য করিনি, বরং পুলিশের খারাপ আচরণের প্রতিবাদ করেছি।”
ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এবং দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় যুবদল কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে বলে দলীয় নেতারা জানিয়েছেন।